গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন

গনোরিয়া রোগ কি এবং গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। গনোরিয়া রোগ হওয়া থেকে বাঁচতে এবং গনোরিয়া রোগ হয়ে থাকলে তা থেকে প্রতিকার পেটে কী কী করতে হবে জানতে পারবেন পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে।

গনোরিয়া একটি যৌনবাহিত রোগ যা নাইসেরিয়া গনোরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এই রোগটি পুরুষ, মহিলা সবার ক্ষেত্রেই হতে পারে। গনোরিয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, যৌনাঙ্গ থেকে পুঁজ বের হওয়া, যোনিপথে ব্যথা, গলা ব্যথা, এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া।

তো চলুন, গনোরিয়া রোগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক।

গনোরিয়া রোগ কি?

গনোরিয়া একটি যৌনবাহিত রোগ যা নাইসেরিয়া গনোরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। আমাদের দেশের যেসব যৌন রোগ অতিরিক্ত পরিমাণে ছড়িয়ে পড়েছে্‌, তাদের মাঝে গনোরিয়া একটি। গনোরিয়া রোগটি অনেক ভয়াবহ।

নাইসেরিয়া গনোরিয়া নামক ভাইরাস যখন কাউকে আক্রমণ করে, তখন এটি থেকেই আমাদের কাছে পরিচিত গনোরিয়া রোগ হয়। এছাড়াও, অনিরাপদ যৌন-সম্পর্কের কারণেও গনোরিয়া রোগ হয়ে থাকে।

গনোরিয়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ

গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা। গনোরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকগুলির মধ্যে রয়েছে টেট্রাসাইক্লিন, এরিথ্রোমাইসিন, এবং সিফ্লক্সাসিন। এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি সাধারণত এক ডোজ বা এক সপ্তাহের কোর্সে দেওয়া হয়।

গনোরিয়া একটি মারাত্মক যৌন সমস্যা যা পুরুষ কিংবা মহিলা দুইজনের ক্ষেত্রেই হতে পারে। গনোরিয়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ না খেলে এটি পরে আরও বড় রূপ ধারণ করতে পারে। তাই, গনোরিয়া হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী গনোরিয়া রোগের চিকিৎসা করতে হবে।

গনোরিয়া রোগ কি ভাল হয়

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করলে গনোরিয়া রোগ ভালো হয়। গনোরিয়া রোগ হলে এটি আমাদের চোখ এবং বিভিন্ন যৌন অঙ্গে আক্রমণ করতে থাকে। গনোরিয়া রোগ হলে বা এই রোগের যেকোনো একটি বা দুইটি লক্ষণ প্রকাশ পেলেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা করতে হবে। তাহলেই, গনোরিয়া নামক এই মহাব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

টেট্রাসাইক্লিন, এরিথ্রোমাইসিন, এবং সিফ্লক্সাসিন হচ্ছে গনোরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক। এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি সাধারণত একক ডোজ বা এক সপ্তাহের কোর্সে দেওয়া হয়। চিকিৎসার পর, আক্রান্ত ব্যক্তির গনোরিয়ার লক্ষণগুলি সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যেই চলে যায়।

আরও পড়ুন – কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

তবে, অ্যান্টিবায়োটিক কোর্সটি সম্পূর্ণ করতে হবে। যদি কোর্স শেষ করার পূর্বেই রোগের লক্ষণ শেষ হয়, তবু এই কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।। এটি নিশ্চিত করার জন্য যে ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হয়েছে।

গনোরিয়া রোগের লক্ষণ

গনোরিয়া রোগ হলে পূর্বেই কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে গনোরিয়া হলে কি কি লক্ষণ প্রকাশ পায় তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। এখানে থেকে আপনার বা আপনার পরিচিত কারও গনোরিয়া রোগ হয়েছে কিনা জানতে পারবেন।

পুরুষের ক্ষেত্রে গনোরিয়া রোগের লক্ষণসমূহ –

  • প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা বা ব্যথা হওয়া
  • মূত্রনালী থেকে পুঁজ বের হওয়া
  • টেস্টিকলে ব্যথা করা বা ফুলে যাওয়া
  • অণ্ডকোষের আশেপাশে ব্যথা করা
  • অন্ডকোষের ত্বকের লালভাব দেখা দেয়া

মহিলাদের ক্ষেত্রে গনোরিয়া রোগের লক্ষণসমূহ –

  • যোনি থেকে পুঁজ বের হওয়া
  • যোনিপথে ব্যথা হওয়া বা জ্বালাপোড়া করা
  • ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা করা বা রক্তপাত হওয়া
  • তলপেটে ব্যথা করা
  • গর্ভপাত

গনোরিয়া রোগ হলে সাধারণত এসব লক্ষণ প্রকাশ পায়। পুরুষ বা মহিলাদের গনোরিয়া রোগ হলে সাধারণ যে লক্ষণ দেখা যায় তা হচ্ছে প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া করা এবং মূত্রনালি ব্যাথা করা।

আরও পড়ুন – ১০টি সেরা কাশির ট্যাবলেট এর নাম

এসব লক্ষণ প্রকাশ পেলে অতি শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়

গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা করতে হবে। গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে। তবেই, গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

গনোরিয়া রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলেও যদি চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হন, তবে এই রোগ অনেক বড় আকার ধারণ করবে। তাই, রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

গনোরিয়া রোগ পুরুষ এবং মহিলা দুইজনেরই হতে পারে। তাই, পুরুষদের গনোরিয়া রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। মহিলাদের গনোরিয়া রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলেও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

পুরুষ এবং মহিলাদের এই রোগের লক্ষণ ভিন্ন হওয়ার কারণে লক্ষণ প্রকাশ পেলে সতর্ক হতে হবে। এছাড়াও, গনোরিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা অবলম্বন করেও এই রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

FAQ

গনোরিয়া হলে কি ঔষধ খেতে হবে?

গনোরিয়া রোগ হলে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে হবে। ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ওষুধ সেবন করলে গনোরিয়া রোগ ঠিক হয়।

পুরুষের গনোরিয়া রোগের লক্ষণ কতদিন পর প্রকাশ পায়?

পুরুষের গনোরিয়া রোগের লক্ষণ গনোরিয়া রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার ৩-৫ দিন পর প্রকাশ পায়। কিছু ক্ষেত্রে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেটে ৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

গনোরিয়া কতদিন পর ভালো হয়?

গনোরিয়া রোগের সু-চিকিৎসা করলে ২ সপ্তাহ থেকে শুরু করে ১ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এই রোগ ঠিক হতে।

গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় কি?

গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করা। এতে করে গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে গনোরিয়া রোগ কি, গনোরিয়া রোগ কি ভালো হয়, গনোরিয়া রোগের লক্ষণ এবং গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় জানা থাকলে এই রোগ নিয়ে শঙ্কিত হবার কিছু নেই।

আরও এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন।

আমি Specific Info ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা এবং অ্যাডমিন। প্রফেশনালি কন্টেন্ট রাইটিং করার পাশাপাশি এই ব্লগে পড়ালেখা, সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক তথ্য নিয়ে লিখে থাকি।

Leave a Comment