ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবনী
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি আলোচিত নাম। পূর্বে এই নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ কে নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা ও সমালোচনা হয়ে থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রেক্ষাপটে তার জীবনী এবং অর্জনগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই চাকরি প্রত্যাশীদের এই প্রয়োজনগুলো মাথায় রেখেই আজকে বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস কে নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের জন্ম, জন্মস্থান ও পরিবার:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৮ জুন, ১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উনার পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর যিনি পেশায় একজন জহুরি ছিলেন এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। দুই ভাই ও নয় বোনের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছিলেন তৃতীয়। মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব। মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিনীর নাম ড. আফরোজী ইউনুস। দুই কন্যার জনক ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর এক মেয়ের নাম মনিকা ইউনূস এবং অন্য জনের নাম দীনা আফরোজ ইউনূস।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের শিক্ষা জীবন:
শিক্ষা জীবনের শুরুতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার গ্রামের মহাজন ফকিরের স্কুল নামে একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে তার পরিবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসায় তিনি গ্রামের স্কুল থেকে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তী হন।
মাধ্যমিক পর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ৩৯ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ তম স্থান অধিকার করেন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগদান করেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।
পরবর্তীতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তী হন। এই সময়ে তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হন এবং কলেজ জীবনেই নাটকে অভিনয় করার জন্য প্রথম পুরষ্কার অর্জন করেন। এছাড়াও কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়েই ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৫৭ সালে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের কর্মজীবন:
স্নাতকের পর কর্মজীবনের শুরুতেই ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স -এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এই পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৬ সালে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। অর্থনৈতিক ভাবে দরিদ্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ব্যাংকিং সুবিধায় আনার আনার জন্য এবং ঋণ প্রদান করার জন্য এই ব্যাংকটির অবদান রয়েছে অনেক। দরিদ্র নাগরিকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই ব্যাংকিং মডেল টি বিশ্বদরবারে অনেক প্রশংসা অর্জন করে এবং বিশ্বের অনেক উন্নত ও শিল্পোন্নত দেশসমূ গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ হয়। তার এই অবদানের জন্য ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
২০২৪ সালের ৬ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস কে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে। এবং পরবর্তীতে আগস্ট ২০২৪ তারিখে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের অবদান:
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে তোলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালীন সময়ে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস দেশের নাগরিকদের দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময় তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ সালে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:
নিজের জ্ঞাণ ও ভাবনাগুলো সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস নিজের লেখা বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশ করেন। যার মধ্যে অন্যতম বইগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হল –
- Banker to the Poor:Micro-lending and The battle against World Poverty. (১৯৯৮)
- Three Farmers of Jobra; Department of Economics, Chittagong University; (১৯৭৪)
- Creating a World Without Poverty
- আত্মজীবনী মূলক বই – দারিদ্র্য হীন বিশ্বের অভিমুখে
- দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বের জন্য
- গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন
- পথের বাধা সরিয়ে নিন, মানুষকে এগুতে দিন
ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মাননা ও পুরষ্কার সমূহ:
প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার ছাড়াও ড. মোহাম্মদ ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬২টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১০ টি দেশ থেকে বিশেষ সম্মাননা সহ সর্বমোট ২৬ টি দেশ থেকে ১১২ টি পুরষ্কার লাভ করেন। উনার উল্লেখযোগ্য পুরষ্কারসমূহ থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু পুরষ্কার নিম্নে তুলে ধরা হল –
- প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড। (১৯৭৮)
- রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। (১৯৮৪)
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৫)
- স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭)
- আগা খান অ্যাওয়ার্ড। (১৯৮৯)
- কেয়ার পুরস্কার। (১৯৯৩)
- নোবেল পুরস্কার (শান্তি)। (২০০৬)
- মানবহিতৈষণা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র। (১৯৯৩)
- মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার,শ্রীলঙ্কা (১৯৯৩)
- রিয়াল এডমিরাল এম এ খান স্মৃতি পদক,বাংলাদেশ (১৯৯৩)
- বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার,যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
- পিফার শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
- ডঃ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণ পদক, বাংলাদেশ (১৯৯৪)
- ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার,সুইজারল্যান্ড (১৯৯৫)
- ঢাকা মেট্রোপলিটন রোটারারি ক্লাব ফাউন্ডেশন পুরস্কার, বাংলাদেশ (১৯৯৫)
- আন্তর্জাতিক সাইমন বলিভার পুরস্কার (১৯৯৬)
- ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট আলামনাই পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৬)
- আন্তর্জাতিক একটিভিটিস্ট পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
- প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, জার্মানি (১৯৯৭)
- হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার,নরওয়ে (১৯৯৭)
- শান্তি মানব পুরস্কার (ম্যান ফর পিস এওয়ার্ড), ইতালি (১৯৯৭)
- বিশ্ব ফোরাম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৭)
- ওয়ান ওয়ার্ল্ড ব্রডকাস্টিং ট্রাস্ট মিডিয়া পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (১৯৯৮)বিশ্ব
- দ্যা প্রিন্স অফ আউস্তুরিয়া এ্যাওয়ার্ড ফর কনকর্ড, স্পেন (১৯৯৮)
- সিডনি শান্তি পুরস্কার, অস্ট্রেলিয়া (১৯৯৮)
- অযাকি (গাকুডো) পুরস্কার, জাপান (১৯৯৮)
- ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
- জাস্টটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার,ফ্রান্স (১৯৯৮) ( Les Justes D’or )
- রোটারারি এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং, যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৯)
- গোল্ডেন পেগাসাস এ্যাওয়ার্ড, ইটালি (১৯৯৯)
- রোমা এ্যাওয়ার্ড ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান, ইটালি (১৯৯৯)
- রাথিন্দ্রা পুরস্কার, ইন্ডিয়া (১৯৯৮)
- অমেগা এ্যাওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্সি ফরব লাইফ টাইম এচিভমেন্ট, সুইজারল্যান্ড (২০০০)
- এ্যাওয়ার্ড অফ দ্যা মেডেল অফ দ্যা প্রেসিডেন্সি,ইটালি (২০০০)
- কিং হুসেইন হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড, জর্ডান (২০০০)
- আই ডি ই বি গোল্ড মেডেল এ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ (২০০০)
- আরতুসি পুরস্কার, ইটালি (২০০১)
- গ্র্যান্ড প্রাইজ অফ দ্যা ফুকুওকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার, জাপান (২০০১)
- হো চি মীণ পুরস্কার, ভিয়েতনাম (২০০১)
- আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পুরস্কার ‘কাজা ডি গ্রানাডা’, স্পেন (২০০১)
- নাভারা ইন্টারন্যাশনাল এইড এ্যাওয়ার্ড, স্পেন (২০০১)
- মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০২)
- বিশ্ব টেকনোলজি নেটওয়ার্ক পুরস্কার, যুক্তরাজ্য (২০০৩)
- ভলভো পরিবেশ পুরস্কার, সুইডেন (২০০৩)
- জাতীয় মেধা পুরস্কার, কলম্বিয়া (২০০৩)
- দ্যা মেডেল অফ দ্যা পেইন্টার অসওয়াল্ড গুয়ায়াসামিন পুরস্কার, ফ্রান্স (২০০৩)
- তেলিছিনকো পুরস্কার, স্পেন (২০০৪)
- সিটি অফ অরভিতো পুরস্কার, ইটালি (২০০৪)
- দ্যা ইকোনমিস্ট ইনোভেশন পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
- ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
- লিডারশীপ ইন সোশ্যাল অন্টাপ্রিনেয়ার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৪)
- প্রিমিও গ্যালিলীয় ২০০০ স্পেশাল প্রাইজ ফর পিস ২০০৪, ইটালি (২০০৪)
- নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার, জাপান (২০০৪)
- গোল্ডেন ক্রস অফ দ্যা সিভিল অর্ডার অফ দ্যা সোশ্যাল সলিডারিটি,স্পেন (২০০৫)
- ফ্রিডম এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৫)
- বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি গোল্ড মেডেল, বাংলাদেশ (২০০৫)
- প্রাইজ ২ পন্টে, ইটালি (২০০৫)
- ফাউন্ডেশন অফ জাস্টিস, স্পেন (২০০৫)
- হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি নেউসতাদ এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
- গ্লোব সিটিজেন অফ দ্যা ইয়ার এ্যাওয়ার্ড,যুক্তরাষ্ট্র (২০০৬)
- ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট স্বাধীনতা পুরস্কার, নেদারল্যান্ড (২০০৬)
- ইতু বিশ্ব তথ্য সংগঠন পুরস্কার, সুইজারল্যান্ড (২০০৬)
- সিউল শান্তি পুরস্কার, কোরিয়া (২০০৬)
- কনভিভেঞ্চিয়া (উত্তম সহকারিতা) সেউতা পুরস্কার, স্পেন (২০০৬)
- দুর্যোগ উপশম পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৬)
- সেরা বাঙালী, ইন্ডিয়া (২০০৬)
- গ্লোবাল ট্রেইলব্লেজার পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
- এ বি আই সি সি এ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ ইন গ্লোবাল ট্রেড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
- সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
- বিশ্ব উদ্যোগী নেতৃত্ব পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
- রেড ক্রস স্বর্ণ পদক, স্পেন (২০০৭)
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম শত বার্ষিকী স্মারক, ইন্ডিয়া (২০০৭)
- ই এফ আর বাণিজ্য সপ্তাহ পুরস্কার,নেদারল্যান্ড (২০০৭)
- নিকলস চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
- ভিশন এ্যাওয়ার্ড, জার্মানি (২০০৭)
- বাফি গ্লোবাল এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
- রুবিন মিউজিয়াম মানডালা এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
- সাকাল বর্ষ ব্যক্তিত্ব পুরস্কার, ইন্ডিয়া (২০০৭)
- ১ম আহপাডা গ্লোবাল পুরস্কার, ফিলিপাইন (২০০৭)
- মেডেল অফ ওনার, ব্রাজিল (২০০৭)
- জাতিসংঘ সাউথ- সাউথ সহযোগিতা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৭)
- প্রোজেক্ট উদ্যোগী পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
- আন্তর্জাতিক নারী স্বাস্থ্য মিশন পুরস্কার, নিউইয়র্ক (২০০৮)
- কিতাকইয়ুশু পরিবেশ পুরস্কার, জাপান (২০০৮)
- চ্যান্সেলর পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
- প্রেসিডেন্স পদক, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
- মানব নিরাপত্তা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
- বাৎসরিক উন্নয়ন পুরস্কার, অস্টিয়া (২০০৮)
- মানবসেবা পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৮)
- শিশু বন্ধু পুরস্কার,স্পেন (২০০৮)
- এ জি আই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
- করিনি আন্তর্জাতিক গ্রন্থ পুরস্কার, জার্মানি (২০০৮)
- টু উয়িংস প্রাইজ,জার্মানি (২০০৮)
- বিশ্ব মানবতাবাদী পুরস্কার, ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
- ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ্যাওয়ার্ড ,ক্যালিফোর্নিয়া (২০০৮)
- এস্টরিল গ্লোবাল ইস্যু’স ডিসটিনগুইশড বুক প্রাইজ, পর্তুগাল (২০০৯)
- এইসেনহওয়ের মেডেল ফর লিডারশীপ অ্যান্ড সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
- গোল্ডেন বিয়াটেক এ্যাওয়ার্ড, স্লোভাকিয়া (২০০৯)
- গোল্ড মেডেল অফ ওনার এ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
- প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, যুক্তরাষ্ট্র (২০০৯)
- পি আই সি এম ই টি এ্যাওয়ার্ড, পোর্টল্যান্ড (২০০৯)
- বৈরুত লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড (২০০৯)
- সোলারওয়ার্ল্ড আইন্সটাইন এ্যাওয়ার্ড (২০১০)
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিখ্যাত উক্তি:
বিভিন্ন সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিখ্যাত বেশ কিছু উক্তি প্রদান করেছেন। তার বিখ্যাত উক্তিগুলো থেকে সংগ্রহীত কিছু উক্তি তুলে ধরা হল।
” Poverty does not belong in civilized human society. Its proper place is in a museum. That’s where it will be. “
“Once we know where we want to go, getting there will be so much easier.”
” If you think creating a world without any poverty is impossible, let’s do it. Because it is the right thing to do ”
” We can remove poverty from the surface of the earth only if we can redesign our institutions – like the banking institutions, and other institutions; if we redesign our policies, if we look back on our concepts, so that we have a different idea of poor people”
” If we are looking for one single action which will enable the poor to overcome their poverty, I would focus on credit ”
” Like navigation markings in unknown waters, definitions of poverty need to be distinctive and unambiguous. A definition that is not precise is as bad as no definition at all”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার জবনী নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরা হল। পরবর্তীতে উনার সম্পর্কে আরও হালনাগাদকৃত তথ্য এই পোস্টেই আপডেট করে দেওয়া হবে। আশাকরি চাকরির পরীক্ষার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনার চাকরির প্রস্তুতিতে অনেক কাজে আসবে।
এই অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ কে কতটুকু দিয়েছেন , আমরাই বা তাকে কতটুকু সম্মান দিতে পেরেছি, সে কথাটা প্রশবিদ্ধ। এত টুকুই বলি একজন ইউনূস বাংলার মাটিতে জন্মেছেন বলে আমরা ধন্য।