বিভিন্ন ধরণের আমানত হিসাবের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ এবং সেসব অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্দিষ্ট সুদের হারে লোন দেয়ার মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
তবে, সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা এবং ব্যাংকের কার্যক্রম এর মাঝে অনেককিছু সংযোজন এবং বিয়োজন হয়েছে। আজকের এই ব্লগ পোস্টে আপনাদের সাথে বাণিজ্যিক ব্যাংক কী, বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজ কি এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করবো।
বাণিজ্যিক ব্যাংক কিভাবে তাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, বাণিজ্যিক ব্যাংক কত প্রকার সহ এ সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।
Table of Contents
বাণিজ্যিক ব্যাংক কী?
জনসাধারণের থেকে আমানত সংগ্রহ করার পর উক্ত আমানত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে লোন দেয়ার মাধ্যমে যেসব ব্যাংক তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, সেসব ব্যাংককে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলা হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংকের কারণে একটি দেশের অর্থনীতি সচল থাকে। সাধারণ মানুষ নির্দিষ্ট পরিমাণে সুদের বিনিময়ের তাদের নগদ বা তারল্য অর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকে জমা রাখে।
বাণিজ্যিক ব্যাংক এসব তারল্য অর্থ ব্যাংকে কোষাগারে জমা না রেখে সেগুলো অধিক সুদের হারে অন্য ব্যক্তি এবং কোম্পানির কাছে ঋণ দিয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের জমা টাকার উপর সুদের হার এবং ব্যাংক কর্তৃক দেয়া ঋণ এর উপর সুদের হারের মাঝে পার্থক্য থাকে। এই অতিরিক্ত সুদ থেকেই ব্যাংক মুনাফা লাভ করে এবং তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শুধুমাত্র আমানত গ্রহণ এবং ঋণ দেয়ার মাঝে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখছে না। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য সব ধরণের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। এতে করে যেমন জনসাধারন উপকৃত হচ্ছে, ঠিক তেমনি ব্যাংকিং কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকছে।
আশা করছি বাণিজ্যিক ব্যাংক কি বুঝতে পেরেছেন। বাণিজ্যিক ব্যাংক কত প্রকার ও কি কি তা নিয়ে অনেকের মাঝে দ্বিধা দেখা যায়। নিম্নে, বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে দিয়েছি।
বাণিজ্যিক ব্যাংক কত প্রকার ও কি কি?
বাণিজ্যিক ব্যাংককে মূলত তিনভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হচ্ছে, সরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক। এই ৩ প্রকার বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রম এর মাঝে পার্থক্য রয়েছে। আমাদের দেশে কতটি সরকারী, বেসরকারি এবং বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক আছে তা নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।
সরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক
সরকারের অধীনে যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংক পরিচালিত হয়, সেগুলোই হচ্ছে সরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকের উপর একটি দেশের সরকারের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব বজায় থাকে। আমাদের দেশেও এমন ৬টি সরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। বাংলাদেশের সরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি।
- সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
- জনতা ব্যাংক লিমিটেড
- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
- বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড
- রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
উপরের তালিকায় উল্লিখিত ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ সরকারের অধীনে তাদের সকল বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এসব ব্যাংকের উপর দেশের সরকারের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব বজায় রয়েছে। অর্থাৎ, দেশের স্বার্থে এসব ব্যাংক আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান সহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মালিকানাভুক্ত যেসব ব্যাংক আমাদের দেশে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সেগুলোই হচ্ছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। আমাদের দেশে মোট ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। তবে, এগুলোর মাঝে ৩৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করছে। উক্ত ৩৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের তালিকা নিচে উল্লেখ করে দিলাম।
- আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড
- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
- পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
- প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড
- সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড
- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড
- এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড
- এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড
- পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড
- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি
- যমুনা ব্যাংক লিমিটেড
- মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড
- সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
- সিটি ব্যাংক লিমিটেড
- এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
- উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড
- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড
- কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
- ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
- মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড
- মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড
- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড
- ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড
- সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি
- ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
- ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
- এবি ব্যাংক লিমিটেড
- মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড
উপরোক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মালিকানায় তৈরি এবং পরিচালিত হচ্ছে।
বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভিনদেশী যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংক আমাদের দেশের ভিতর তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সেগুলোই হচ্ছে বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক। বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক সাধারণত একের অধিক দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বাংলাদেশে মোট ৯টি বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। এগুলো হচ্ছে –
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ
- ব্যাংক আলফালাহ্
- উরি ব্যাংক
- সিটিব্যাংক এনএ
- হাবিব ব্যাংক লিমিটেড
- এইচএসবিসি
- ভারতীয় স্টেট ব্যাংক
- কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন
- ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান
উপরোক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মূলত আমাদের দেশে বাণিজ্য করার জন্য এসেছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজ কি
বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজ হচ্ছে জনসাধারণের থেকে আমানত গ্রহণ করে সেসব অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে সুদের বিনিময়ে ঋণ দেয়া। এতে করে, ব্যাংক উক্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান থেকে মুনাফা অর্জন করতে পারে এবং সেখানে থেকে যারা ব্যাংকে তাদের টাকা আমানত রেখেছেন, তাদেরকে মুনাফা দিয়ে থাকে। আমানত সংগ্রহ এবং ঋণ দেয়াই হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল কাজ।
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক যত সফলতার সাথে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে এবং তাদের তারল্য বৃদ্ধি করতে পারবে, উক্ত ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। একটি দেশের অর্থনীতির উন্নতিও নির্ভর করে থাকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের উপর। যেসব ব্যাংক সফলতার সাথে অধিক পরিমাণে আমানত সংগ্রহ করতে পারে,সেসব ব্যাংক মূলত অর্থনীতিতে বেশি অবদান রাখতে পারে। আশা করছি, বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজ কি বুঝতে পেরেছেন।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য কি
বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আমানত সংগ্রহ করা। আমানত সংগ্রহ করার পর সেসব অর্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে ঋণ দেয়ার মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অর্থাৎ, বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমানত সংগ্রহ করার পর সেগুলো ঋণ দেয়ার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা।
আমাদের দেশের প্রায় সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক বিভিন্ন পদ্ধতিতে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। আমানত সংগ্রহ করার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মূলত বিভিন্ন ধরণের হিসাব খুলে থাকে। আমানত সংগ্রহ করার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের হিসাবগুলো হচ্ছে –
- চলতি হিসাব
- সঞ্চয়ী হিসাব ও
- স্থায়ী আমানত হিসাব
উপরোক্ত আমানত হিসাবগুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের থেকে নগদ অর্থ সংগ্রহ করার পর সেগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে সরল সুদের বিনিময়ে ঋণ প্রদান করে থাকে এসব ব্যাংক।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস কী
বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে ঋণের সুদ। সাধারণ মানুষের থেকে আমানত সংগ্রহ করার পর সেগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদের বিনিময়ে ঋণ দিয়ে থাকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। উক্ত সুদের হার থেকে প্রাপ্ত মুনাফাই বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস। বিনিয়োগ, বিল বাট্টাকরণ,লকার ভাড়া এসবকিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের উৎস নয়। শুধুমাত্র ঋনের সুদ হচ্ছে প্রধান উৎস।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের উৎস কয়টি
বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের উৎস মূলত ৪টি। শুধুমাত্র আমানত গ্রহণ করা ছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের তহবিল সংগ্রহ করতে পারে এবং করে থাকে। একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক যখন তাদের কার্যক্রম শুরু করে, তখন শুরুতেই সাধারণ জনগন তাদের অর্থ আমানত রাখতে চান না। এমতাবস্থায়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আরও তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের তহবিল সংগ্রহ করে থাকে। নিম্নে এই পদ্ধতি ৩টি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
পরিশোধিত মূলধন
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক যখন যাত্রা শুরু করে, তখন অংশীদারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে অংশীদাররা মূলধন সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে শেয়ার ইস্যু করে মূলধন সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এটাই হচ্ছে একটি ব্যাংকের মূলধন সংগ্রহ করার জন্য প্রধান এবং সর্বোত্তম পদ্ধতি। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রেও অংশীদাররা মূলধন সরবরাহ করে থাকে।
সংরক্ষিত তহবিল
প্রতিবছর মুনাফার কিছু অংশ ব্যাংক মালিক বা শেয়ার হোল্ডারদের মাঝে বণ্টন না করে সেগুলো তহবিল হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এগুলোই পরবর্তীতে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সংরক্ষিত তহবিল হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তহবিল সংগ্রহ করার অন্যতম একটি মাধ্যম।
ঋণ গ্রহণ
মূলধনের সংকট বা বিভিন্ন প্রয়োজনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনেক সময় বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। ঋণ নেয়ার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করাও বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্যতম একটি মাধ্যম।
উপরোক্ত এই পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক তহবিল সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়াও, সবথেকে কার্যকরী এবং সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে আমানত জমা নেয়ার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা। এটি নিয়ে ইতোমধ্যে আমি আলোচনা করেছি। অর্থাৎ, বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলের উৎস হচ্ছে ৪টি।
বাণিজ্যিক ব্যাংক কি, বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজ কি এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক কত প্রকার ও কি কি এগুলো নিয়ে এতক্ষন যাবত আলোচনা করেছি। আশা করছি, বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজ কি এ সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। আরও কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে উল্লিখিত সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীগুলো দেখতে পারেন।
সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
ব্যাংক এর আয় এর উৎস কি?
ব্যাংক এর আয়ের উৎস হচ্ছে ঋনের সুদ। ঋণ দেয়ার বিনিময়ে সুদ গ্রহণ করে ব্যাংক আয় করে থাকে এবং তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
ব্যাংকের প্রধান কাজ কি কি?
ব্যাংকের প্রধান কাজ হচ্ছে আমানত সংগ্রহ করা এবং ঋণ দেয়ার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা ও ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা।
ব্যাংক আপনার টাকা দিয়ে কি করে?
আপনি যখন ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন, তখন ব্যাংক উক্ত টাকাগুলো অন্য ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে ঋণ হিসেবে দিয়ে সেখানে থেকে মুনাফা অর্জন করে থাকে এবং উক্ত মুনাফার কিছু অংশ আপনাকে দিয়ে থাকে লভ্যাংশ হিসেবে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান আয়ের উৎস কি?
বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে ঋণ দেয়ার মাধ্যমে সুদ গ্রহণ করা এবং সেখানে থেকে মুনাফা অর্জন করা। জনসাধারণ যখন তাদের টাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকে আমানত হিসেবে জমা রাখে, তখন ব্যাংক উক্ত টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে ঋণ হিসেবে প্রদান করে এবং তা থেকে মুনাফা অর্জন করে। এভাবে করে বাণিজ্যিক ব্যাংক আয় করে থাকে।
শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বাণিজ্যিক ব্যাংক কি, বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজ কি এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। শুরু থেকে এই অব্দি পোস্টটি পড়ে থাকলে আশা করছি সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন।