ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ – পশু কোরবানি করার নিয়ম

ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ - পশু কোরবানি করার নিয়ম

ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ – পশু কোরবানি করার নিয়ম

ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? মুসলমানদের জীবনে আল্লাহ প্রদত্ত দুটি আনন্দের দিনের অন্যতম একটি ঈদুল আজহা। ঈদুল ফিতরের দুই মাস দশ দিন পর মুসলমানেরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। দিনের হিসাবে যা সবোর্চ্চ ৭০ দিন হতে পারে।

আপনি যদি বাংলাদেশে বসবাস করে থাকেন এবং জানতে চান ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে ঈদুল আযহা সম্পর্কে জেনে নিন।

Table of Contents

ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ

ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? যদি আপনি এই বিষয়টি জানার জন্য আমাদের আর্টিকেল ওপেন করে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আমরা জানি যে কোরবানির ঈদ হলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঈদ এবং কোরবানি করার মাধ্যমে এটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত পালন করা হয়। আপনি যদি বাংলাদেশে বসবাস করে জানতে চান আপনার দেশে কোরবানির ঈদ কত তারিখ তাহলে বিস্তারিত জানুন।

আরও পড়ুন — ১০টি সাত দিনে চিকন হওয়ার উপায় জানুন ২০২৪

বছরে মুসলিমদের দুইটি ঈদ রয়েছে। আর এই দুইটি ঈদ কোন তারিখ হবে এ বিষয়গুলো আগে থেকেই নির্ণয় করা হয়। যদিও আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি যে আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মুসলিমদের প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ঠিক একই রকম ভাবে মুসলিমদের দুইটি ঈদ ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা উদযাপন করা হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। যদি নতুন চাঁদ দেখা যায় তাহলে নতুন মাস শুরু হবে আর না দেখা গেলে নতুন মাস শুরু হবে না।

তাই আগে থেকেই কখনো কেউ বলতে পারে না যে কোরবানির ঈদ অথবা রোজার ঈদ কত তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। তবে বর্তমান সময় যেহেতু তথ্যপ্রযুক্তির সময় তাই আগে থেকে কিছুটা অনুমান করা যায়। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা এবং চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। এই বছর চাঁদ দেখা কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে যে জুন মাসের ১৭ তারিখ জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ হতে পারে আর এই দশ তারিখেই কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হবে।

২০২৪ সালে কোরবানি ঈদ কত তারিখ

২০২৪ সালে কোরবানি ঈদ কত তারিখ? এই বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কোরবানি দিতে চান এবং আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কোরবানির ঈদ কত তারিখে হয় এ বিষয়টি ধারণায় রাখতে হবে। কারণ কোরবানির আগে আমাদেরকে গরু অথবা আমরা যেই পশু কোরবানী দিবো সেই পশু কিনতে হয়। তাই আগে থেকেই যেন এই বিষয়গুলো তৈরি থাকে তাই আমাদেরকে কোরবানির তারিখটা মনে রাখতে হয়।

আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি যে হিজরী মাস কবে শুরু হবে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। তবে কুরবানী ঈদ জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে উদযাপন করা হয়ে থাকে। তাই ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যেদিন জিলহজ মাসের ১০ তারিখ হবে সেই দিনেই কোরবানির ঈদ উদযাপন করতে হবে। চাঁদ দেখা কমিটি জানিয়েছে বাংলাদেশে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ জুন মাসের ১৭ তারিখ হতে পারে। তাই জুন মাসের ১৭ তারিখ বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন —  পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

কয়দিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়

কয়দিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়? আমাদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানে না। আমাদের মধ্যে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে যে আমরা মনে করি শুধু কোরবানির ঈদের দিনেই পশু কোরবানি দিতে হয় আর অন্য কোনদিনও পশু কুরবানী দেওয়া যায় না। তবে বিষয়টি এরকম নয় আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার এ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত।

কারণ অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন কারণে আমরা কোরবানির ঈদের দিনে পশু কুরবানী করতে পারি না। তাতে কোন সমস্যা নেই। আপনি যদি কোরবানির ঈদের দিন পশু কুরবানী করতে না পারেন তাহলে পরের দুই দিন প্রচুর কুরবানী করতে পারবেন সাধারণত এই বিষয়টি ইসলামিক বিধানে রয়েছে। কুরবানির ঈদ তিনদিনের হয়ে থাকে। জিলহজ মাসের ১০, ১১ তারিখ এবং ১২ তারিখ কোরবানির ঈদ পালন করা যায়।

তবে সবথেকে উত্তম হলো কোরবানির ঈদের দিন অর্থাৎ জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পশু কোরবানি করা। যদি কোন কারণে আপনি মুসাফির অবস্থায় থাকেন তাহলে বাসায় এসে ১১ তারিখ অথবা ১২ তারিখ পশু কোরবানি করতে পারবেন এতে কোন সমস্যা নেই। তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে মোট তিন দিন কোরবানির পশু জবাই করা যাবে। এরপরে আপনি যদি পশু কোরবানি করেন তাহলে এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।

পশু কোরবানি করার নিয়ম

ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ এই বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমরা জেনেছি যে জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হবে। আর এই জুন মাসের ১৭ তারিখে আমাদেরকে পশু কোরবানি করতে হবে। কোরবানির পশু জবাই করার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি চান আপনার কোরবানির পশু আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক তাহলে নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে।

কোরবানির পশু জবাই করার আগে অবশ্যই আমাদেরকে কিবলামুখী করে শুইয়ে দিতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশের কেবলা পশ্চিম দিকে তাই পশ্চিম দিকে মুখ করে পশুকে শোয়াতে হবে। সাধারণত এভাবে কোরবানির পশুকে শোয়ানো সব থেকে উত্তম। পশুকে শোয়ানোর পরে ভালোভাবে তার পা গুলোকে বেঁধে নিতে হবে যেন কোরবানি করার সময় পা হল নড়াচড়া করতে না পারে। এই বিষয়গুলো বিশেষ করে নজর রাখতে হবে।

আরও পড়ুন — মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম জেনে নিন

আপনি যদি উট কোরবানি করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে নাহর করতে হবে। সাধারণত এই বিষয়টি এমনভাবে করতে হয় যে উট দাঁড়ানো অবস্থায় বুকের দিক থেকে ঘাড় পর্যন্ত চলে যাওয়া প্রধান রক্তবাহী রগ কেটে দিতে হবে। নাহর করার পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হবে সাধারণত এখান থেকে ধীরে ধীরে উট নিস্তেজ হয়ে যাবে এবং মাটিতে ঢলে পড়বে এবং একসময় তার মৃত্যু নিশ্চিত হবে। আপনি যদি পারেন তাহলে উটকে শুইয়ে জবাই করতে পারেন।

পশু জবাই করার আগেই অবশ্যই ভালোভাবে ছুরি ধার করে নিতে হবে। কারণ অনেক সময় দেখা যায় যে ছুরিতে প্রচুর কলা কাটেনা এবং পশু অনেক বেশি কষ্ট পায়। কোরবানির পশুর গলায় যখন ছুরি চালানো হয় এই সময় আমাদেরকে উচ্চস্বরে বলতে হবে বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। আপনি যদি শুধু বিসমিল্লাহ বলে থাকেন তাও হবে। তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে যদি এই দোয়া না পড়েন তাহলে কোরবানির গোশত খাওয়া হালাল হবে না।

কোরবানি না করলে কি গুনাহ হবে

কোরবানি না করলে কি গুনাহ হবে? এ ধরনের প্রশ্ন অনেকে করে থাকে। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি যে আপনি যদি একজন সামর্থ্যবান মানুষ হয়ে থাকেন এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোরবানি করতে হবে। কারণ আল্লাহ তায়ালা সামর্থন ব্যক্তিদের ওপরেই আর্থিক ইবাদতগুলো ঘোষণা করেছেন। আর্থিক ইবাদত বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে এগুলোর মধ্যে কোরবানি অন্যতম একটি।

কারণ কোরবানি করার জন্য বাজার থেকে ভালো মানের পশু কিনতে হয় আর এর কারণে অবশ্যই আমাদেরকে অর্থ ব্যয় করতে হয়। তাই আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে অর্থ দিয়েছেন সাধারণত তাদেরকে কোরবানি করতে হবে। আপনার কাছে যদি অর্থ থাকে এবং আপনি আল্লাহর দেওয়া নির্দেশনা মানেন তাহলে অবশ্যই আপনার গুনা হবে। এবং আপনাকে কাল হাশরের ময়দানে আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে।

আরও পড়ুন – জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটা ভালো জেনে নিন

কাদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব

ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? এই বিষয়টি জেনেছি এখন আমাদের জানা উচিত কাদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। বেশ কিছু ইবাদত রয়েছে যেগুলো ফরজ ইবাদত অর্থাৎ এগুলো পালন করতে হবেই এর কোন মাফ নেই। বেশ কিছু এবাদত রয়েছে যেগুলো সুন্নাত এবং ওয়াজিব সাধারণত এই এবাদত গুলো ব্যাক্তি ভেদে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। যেমন সুন্নত যদি আপনি না মান্য করেন তাহলে গুনা হবে না কিন্তু মান্য করলে অনেক বেশি সওয়াব পাবেন।

আপনার কাছে যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে এবং আপনার উপরে যাকাত ফরজ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই কোরবানি দিতে হবে। যদি আপনি একটি পশু একাই কোরবানি দিতে সামর্থ্যবান না হয়ে থাকেন তাহলে ভাগে কোরবানি দিতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। তবে ভাগের কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে আপনি কোন ধরনের ব্যক্তির সাথে কোরবানি দিচ্ছেন এ বিষয়টি।

কোরবানি করার ফজিলত

কোরবানি করার ফজিলত জানা থাকলে আমরা অবশ্যই কুরবানী করব। কারণ আমাদের মধ্যে বেশ কিছু মানুষ রয়েছে যারা কোরবানি করতে চায় না। সাধারণত অর্থ ব্যয় হয়ে যাবে এই ভয়েই তারা কোরবানি করতে চায় না। কিন্তু বিষয়টা এরকম হলে হবে না। আপনি যদি সামর্থ্যবান ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করতে চান তাহলে আপনাকে কোরবানি ঈদের দিন অবশ্যই কোরবানি করতে হবে।

আমাদের সৃষ্টি কর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে কোরবানি সম্পর্কে বেশ কিছু আয়াত উল্লেখ করেছেন। সাধারণত এখান থেকে আমরা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি যে কোরবানি করার ফজিলত কত বেশি। সাধারণত আমরা আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য আমাদের পছন্দের কোন কিছু কুরবানী করছে কিনা এ বিষয়টি জানার জন্যই আল্লাহ তায়ালা কোরবানির বিধান চালু করেছেন। আর প্রতিটি সামর্থ্যবান মানুষকে কোরবানির বিধান মান্য করতে হবে।

আরও পড়ুনহাঁটুব্যথার কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

কোরবানি হলো অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি ইবাদত। আপনার কাছে যদি যথেষ্ট পরিমাণে সম্পদ থাকে তাহলে কখনোই কোরবানি ত্যাগ করবেন না। কারণ কোরবানি ত্যাগ করলে অনেক বেশি গুনার অংশীদার হবেন। আমরা কেউ চাই না গুনার অংশীদার হতে তাই নিজের মন থেকেই আল্লাহতালাকে খুশি করতে আমাদেরকে কুরবানী করা উচিত।

শেষ কথা

ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন সচেতন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই আগে থেকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। কারণ ঈদ কত তারিখ হবে এ বিষয়টি যদি জানা থাকে তাহলে খুব সহজেই আমরা ঈদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারব এবং পশু কিনে রাখতে পারব।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

আশা করছি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আমাদের যেকোনো আপডেট মিস না করতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। ধন্যবাদ সবাইকে সম্পূর্ণ দেখার জন্য।

আমি Specific Info ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা এবং অ্যাডমিন। প্রফেশনালি কন্টেন্ট রাইটিং করার পাশাপাশি এই ব্লগে পড়ালেখা, সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক তথ্য নিয়ে লিখে থাকি।

Leave a Comment