এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো জানুন |এলার্জি রোগের চিকিৎসা
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? সাধারণত যাদের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। এর কারণ হলো বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোতে এলার্জি জনিত সমস্যা বেড়ে যায়।
আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অবশ্যই এলার্জি জনিত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। নিজের এবং নিজের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? এ বিষয়ে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? বিষয়টি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ জানে না কোন খাবারের মধ্যে এলার্জির সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে আপনার যদি কোন খাবারের প্রতি এলার্জিজনিত সমস্যা থাকে অর্থাৎ কোন খাবার খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা যায় তাহলে আপনাকে আগে থেকেই জেনে রাখতে হবে সে খাবার কোন গুলো? তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক এলার্জি জাতীয় খাবার সম্পর্কে।
দুধ — বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তিন বছরের শিশুদের গরুর দুধের মধ্যে এলার্জি থাকে। আবার অনেক সময় বড়দের ক্ষেত্রেও গরুর দুধের মধ্যে এলার্জি লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত তাই গরুর দুধকে এলার্জি জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরো পড়ুন: ফেমিকন পিলের ক্ষতিকর দিক গুলো কী কী?
গম — যে সকল এলার্জি জাতীয় খাবার রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গম। সাধারণত আমরা বেশিরভাগ সময়ে গমের তৈরি আটার রুটি খেয়ে থাকে। তাই আর সময় আমাদের শরীরে এলার্জি সমস্যা দেখা যায়।
ডিম — দুধের মত ডিমের মধ্যেও এলার্জির মত সমস্যা রয়েছে। সাধারণত বেশিরভাগ শিশুরা দুধের মতই ডিমের এলার্জির সমস্যায় ভুগে থাকে। সাধারণত থাকি ডিম কে এলার্জি জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সয়া — তারপর অনেক শিশুদের ক্ষেত্রে সয়া থেকে এলার্জির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তবে এইসব এলার্জি শিশুদের একটা নির্দিষ্ট বয়স হওয়ার পরে কমতে শুরু করে।
ফল ও সবজি — আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বেশ কিছু ফল এবং সবজির মধ্যে এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে। সাধারণত এই সবজি গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বেগুন, গাজর, টোম্যাটো, পিচ, কলা ইত্যাদি।
বাদামের মধ্যে এলার্জি থাকা — সাধারণত আমরা অনেকেই বাদাম খেতে পছন্দ করে থাকি। তবে বাদাম আমাদের জন্য এলার্জি সমস্যা বয়ে আনতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম কাজু, পেস্তা, আমন্ড, আখরোট, ব্রাজিল নাটে মধ্যে এলার্জি জনিত সমস্যা থাকতে পারে।
সামুদ্রিক মাছ — অনেক সময় আমাদের শরীরে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে এলার্জি দেখা যায়। আমরা যখন সামুদ্রিক মাছ খেয়ে থাকি তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। সাধারণত তাই সামুদ্রিক মাছকে এলার্জি জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চিনা বাদাম — বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের প্রায়ই চিনা বাদাম এর মধ্যে এলার্জি সমস্যা দেখা যায়। আবার অনেক সময় বড়দের ক্ষেত্রেও চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
মাছ — অসাধারণ আমরা সামুদ্রিক মাছের মধ্যে এলার্জি সমস্যা জেনেছি কিন্তু বেশ কিছু প্রকারের মাছ বয়স হয়েছে যেগুলোর মধ্যে এলার্জির সমস্যা থাকে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো টুনা, ম্যাকরলে তাছাড়া আরো মাছ রয়েছে যেগুলো খেলে এলার্জি হতে পারে।
আরো পড়ুন: হাঁটুব্যথার কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই? সাধারণত এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে এবং বেশ কিছু খাবার খাওয়ার পরে তাদের এলার্জি সমস্যা আরো বেড়ে যায়। যেই খাবার গুলোর মধ্যে এলার্জির সমস্যা থাকে না সাধারণত সেই খাবার গুলো আমাদেরকে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাই জেনে নেওয়া যাক কখন খাবার গুলোর মধ্যে এলার্জি জনিত সমস্যা নেই।
কলা — কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। কলার মধ্যে কোন ধরনের এলার্জি জনিত সমস্যা নেই। যদি কোন খাবার খাওয়ার ফলে এনার্জি জনিত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কলা খেলে সে সমস্যার দূর হয়ে যায়। তাই আমাদেরকে নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত। এতে করে এটি আমাদের স্বাস্থ্যগত দিক থেকে অনেক বেশি উপকারিতা আসবে।
ভিটামিন সি জাতীয় ফল — আমরা সবাই টক জাতীয় ফল খেতে পছন্দ করে থাকি। টক জাতীয় ফুলের মধ্যে অন্যতম হলো কমলালেবু তাছাড়া আরও রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত এই খাবার খেতে পারি তাহলে এটি আমাদের এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করবে। আর এই খাবারের মধ্যে এলার্জি সমস্যা নেই।
লেবু — লেবুর মধ্যে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সাধারণত এই ফল এলার্জি সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আমরা যদি নিয়মিত পানি এবং মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারি তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকার হবে। তাই এলার্জির সমস্যা থাকলে বেশি বেশি লেবু পানি পানি পান করুন
শসা এবং গাজর — যে সকল খাবারের মধ্যে এলার্জিজনিত সমস্যা নেই এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শসা এবং গাজর। সাধারণত শসা এবং গাজরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। তাই আপনার যদি এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে শসা এবং গাজর খেতে পারেন। এতে করে আপনার এলার্জি জনিত সমস্যা দূর হবে।
গ্রিন টি — গ্রিন টি আমরা অনেকেই ওজন কমানোর জন্য খেয়ে থাকি। সাধারণত অনেকে মনে করে থাকে যে এই খাবারটার মধ্যে এলার্জি রয়েছে। কিন্তু বিষয়টা এরকম নয় এই খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে সাধারণত এই উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটা ভালো জেনে নিন
আদা চা — আদার মধ্যে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সাধারণত এই উপাদান গুলো আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আমরা যদি নিয়মিত আদা চা অথবা আদা খেতে পারি তাহলে এটি আমাদের এলার্জিজনিত সমস্যার দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। তা ছাড়া আদার রস এবং মধু খেলেও অনেক উপকারিতা আসবে।
ক্যাস্টর অয়েল — এই ধরনের তেল গুলো আমাদের চুলের জন্য এর পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সাধারণত এই তেলের মধ্যে কোন ধরনের এলার্জির জনিত সমস্যা নেই। যদি আপনার আগে থেকে এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে তাহলে আপনি এই ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারেন অথবা খেতে পারেন।
এলার্জি জাতীয় সবজির তালিকা
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? এ বিষয় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি। সাধারণত আমরা আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সবজি খেয়ে থাকি। তবে বিভিন্ন সবজির মধ্যে এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা যায়। আপনি যদি অতিরিক্ত সবজি খেয়ে থাকেন এবং আপনার এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে কোন সবজির মধ্যে এলার্জি রয়েছে সেই বিষয়টি জেনে নিন।
আমাদের শরীরের মধ্যে যদি ক্ষতিকর কোন বস্তু থাকে তাহলে সেটিকে প্রতিরোধ করার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চেষ্টা করতে থাকে। সাধারণত এই প্রক্রিয়াকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলা হয়। শালারা তো অনেক সময় আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় কিন্তু ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধ করতে যান যার ফলে উল্টা প্রক্রিয়া হয়ে থাকে। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এ ধরনের বস্তুর প্রতি শরীরের যে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে তাকে এলার্জি বলা হয়।
- পুঁইশাক
- বেগুন
- সিম
- কদু
- গাজর
- টমেটো
- ফুলকপি
- লাল আলু
- বাঁধাকপি
- কুমড়া
- পেঁপে
- কচুর শাক
- পালং শাক
এলার্জি সমস্যা কমানোর উপায়
এলার্জি সমস্যা কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। আপনার যদি এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়টি ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ এলার্জির সমস্যা অনেক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ বিষয়গুলোকে কখনো অবহেলা না করে যখন এই সমস্যা দেখা দেবে সাধারণত তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে হবে। অথবা যে খাবারগুলো নিষিদ্ধ সেই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের এলার্জি হয়ে থাকে। আপনার যদি নাকে এলার্জি থাকে তাহলে আপনি যখন বাইরে যাবেন তখন অবশ্যই নাকের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার করবেন।
- সাধারণত আপনি যখন বাইরে যাবেন তখন নাকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন যাতে করে আপনি আবহাওয়ার সাথে অনেকটা নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন এবং আপনার এলার্জি জনিত সমস্যা হবে না।
- অনেক সময় ঠান্ডা লাগার কারণে এলার্জিজনিত সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আপনার উচিত ঠান্ডা মেঝেতে খালি পায়ে না হাঁটা। যখন ঠান্ডা মেঝেতে হাটবেন তখন অবশ্যই স্যান্ডেল পড়ে হাঁটবেন।
- যদি এলার্জির জনিত সমস্যা দেখা যায় তাহলে সম্পূর্ণ শরীরে র্যাশ বের হতে পারে। অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
- আবার অনেকের ক্ষেত্রেই গরমের সময় অতিরিক্ত গরমে এলার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে তাই সবসময় নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।
- বেশ কিছু খাবারের মধ্যে এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে সেই খাবার গুলো আমাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে। আর কোন খাবারের মধ্যে এলার্জি থাকে সেগুলো ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ঘাড়ে ব্যথা হয় যেসব কারণে প্রতিকার
এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া নিষেধ
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। সাধারণত এখান থেকে খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছি যে এই খাবারগুলো খাওয়া থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে এলার্জিজনিত সমস্যা। তবে আপনার যদি আগে থেকেই এলার্জির জন্যই তো সমস্যা থাকে তাহলে আপনাকে উপরোক্ত খাবারগুলো খাওয়া একেবারে বন্ধ করতে হবে।
সাধারণত যে সকল খাবার খেলে এলার্জিজনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে অথবা এলার্জি হতে পারে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গরুর দুধ, চিনাবাদাম, ডিম, শেলফিশ, মাছ, গাছ বাদাম, সয়া, গম, চাল এবং ফল ইত্যাদি। আপনার যদি এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে তাহলে আপনাকে এই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো কখনোই আর রাখা যাবে না। হলে আপনাকে আবার এলার্জির সমস্যাই ভুগতে হবে।
এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া যাবে
এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া যাবে? সেই বিষয়েও আমাদেরকে মধ্যে আলোচনা করেছি। সাধারণত যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা কোন ধরনের খাবার গুলো খাবে এ বিষয়টি নিয়ে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকে। কারন এই খাবার খেলে তাদের এলার্জি জনিত সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই কোন খাবারগুলো খেতে পারবেন যদি আপনার এলার্জি হয়ে থাকে তার পরেও সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
এলার্জি হলে আপনি কলা এবং বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন কারণ এই ফলগুলোর মধ্যে কোন ধরনের এলার্জিজনিত সমস্যা নেই। যদি এলার্জি থাকে তাহলে কমলা লেবু অর্থাৎ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো খেতে পারেন। এই খাবার খেলে কখনো এলার্জি সমস্যা বাড়বে না আরো কমবে। আদা চা, গ্রিন টি অথবা শসা খেলে এলার্জি জনিত সমস্যা বাড়েনা। তাই আপনি নিঃসন্দেহে এই খাবারগুলো খেতে পারেন। শুধু যে খাবার গুলো নিষেধ করা হয়েছে সেই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকুন।
আরো পড়ুন: পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
এলার্জি রয়েছে এরকম মাছ কোনগুলো
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? যেহেতু এই বিষয়টি জেনেছি সেহেতু এর পাশাপাশি আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে কোন মাছের মধ্যে এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে। আমরা দৈনন্দিন যে সকল মাছ খেয়ে থাকি সাধারণত এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি মাছের মধ্যে এলার্জি পাওয়া যায়। যেহেতু আমরা অনেকেই এলার্জি সমস্যা হয়ে থাকে সেহেতু আমাদেরকে এই মাছের নাম গুলো জেনে রাখতে হবে।
- পুঁটি মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- তেলাপিয়া মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- চিংড়ি মাছের মধ্যে সবথেকে বেশি এলার্জি থাকে
- টুনা মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- ইলিশ মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- ভেটকি মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- বোয়াল মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- চিতল মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- কট ফিস এর মধ্যে এলার্জি থাকে
- বেশ কিছু সামুদ্রিক ফিসের মধ্যে এলার্জি থাকে
এলার্জি সমস্যা হলে আমাদের করণীয়
এলার্জি সমস্যা হলে আমাদের করণীয় আমরা অনেকেই জানিনা। সাধারণত আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ এ বিষয়গুলো না জানার কারণেই বেশি সমস্যার মধ্যে থাকে। যদি আমাদের মধ্যে কারো ক্ষেত্রে এলার্জি জনিত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটি কেন হয়েছে এবং কোন খাবার খাওয়ার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা হয়ে থাকে এই বিষয়গুলো আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। এই রোগের কারণ না জেনে কখনোই এর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন — ১০টি সাত দিনে চিকন হওয়ার উপায় জানুন ২০২৪
এলার্জি রোগের চিকিৎসা
এলার্জি রোগের চিকিৎসা রয়েছে যদি আপনি সেটি সঠিক সময়ে করেন তাহলে। বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতিতে এমন কোন রোগ নেই যার চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। আপনি যদি সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই যে কোন রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন। এলার্জিজনিত সমস্যা এক ধরনের রোগ আর এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে উপরের খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
আর যে খাবারগুলো খেলে এলার্জি জনিত সমস্যার দূর হয় সেই খাবারগুলো খেতে হবে বেশি বেশি। তাছাড়া যদি একটুতেই আপনার এলার্জি সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যদি আপনি সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এলার্জি রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন। এলার্জির রোগের চিকিৎসা নিতে হলে আপনাকে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে অ্যালার্জি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। কারণ আমরা অনেকেই এই ধরনের সমস্যাই ভুগে থাকি। আগে থেকেই বিষয়গুলো জানা থাকলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই উপকারী হয়ে যায়।
আশা করি আপনি আমাদের আর্টিকেল থেকে বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন।